ইসলামের নামে নারীদের অত্যাচার

পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর তার অর্ধেক গড়িয়াছে নারী অর্ধেক নর। কিন্তু এখন, সমাজের তথাকথিত মুসলমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের কে নিচু করে দেখে। সব সুযোগ সুবিধা থেকে দূরে রাখতে চায়। তাদের কে শিক্ষিত করতে চায় না। নারীকে সন্তান উৎপাদন এর যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।

যদি কোন নারী সংসার এর পাশাপাশি বাইরে কাজ করতে চায় সেখানেও বাঁধার সম্মুখীন হয়। ইসলামের দোহাই দিয়ে নারীদের কে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী রাখতে চায়।

যদি কোন নারী খোলামেলা পোশাক পরে সেখানেও ইসলাম কে টেনে আনা হয় এবং বোরকা পরতে বাধ্য করা হয়। যদি কোন নারী প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে সহ্য করতে হয় অপমান লাঞ্চনা।

পারিবারিক ভাবে মেয়েদের দমিয়ে রাখা হয়। নারীরা তাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয় প্রতি পদে পদে। পরিবারে সব সময় দেখা যায় ভাই বোন এর মধ্যে বৈষম্য করা হয়। খাওয়া জীবন যাত্রার সকল স্তরে ছেলে সন্তানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। মেয়েদের কে দমিয়ে রাখা হয়।

নারীরা বিয়ের ক্ষেত্রেও নিজের স্বাধীন মতামত দিতে পারে না। বিয়ে পরবর্তী জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হলে সেখানেও তারা পারিবার ও সমাজের কথা চিন্তা করে অনেক অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে নেয়। এভাবে নারীরা প্রতিনিয়ত অসহায় হয়ে পরছে। কেউবা আবার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সমস্যার সমাধান হিসেবে আত্মহ্যাতার পথ বেছে নিচ্ছে।

আমার এই লেখা সেই সব নারীরদের জন্য যারা ইসলামের নামে প্রতি পদে পদে বঞ্চিত হচ্ছে। আমার এই লেখা সেই সব নারীদের কে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার জন্য। সমাজের মানুষের মন মানসিকতা পরিবর্তন করার জন্য। তথাকথিত কাঠমোল্লাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়ার জন্য। সমাজের সবাইকে এক হয়ে এদের কুরুচিপূর্ণ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।